অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সংবিধান তো বাকশালী সংবিধান, এ সংবিধান তো কর্তৃত্ববাদী সংবিধান। তাহলে এ সংবিধানের অজুহাত দিয়ে কেন আপনারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে সংস্কার করতে দেরি করছেন? শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির বলেন, ‘আপনারা তো বিপ্লবের মাধ্যমে তৈরি হওয়া একটি সরকার। এই সরকারের সবকিছু যে সংবিধান অনুযায়ী হতে হবে, সেটার তো কোনো দরকার নেই। কারণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়, সেই সরকারকে নতুন করে সবকিছু করতে হয়, নতুন করে সব কিছু রাখতে হয়। যাতে গণতন্ত্রের ইনস্টিটিউশনগুলো ডেভলপ করে, সেই প্রচেষ্টার জন্য আপনাদের অনেক কাজ করতে হবে। যেটা বর্তমান সংবিধানের মধ্যে সংবিধিবদ্ধ নয়, এটা তো শেখ হাসিনার সংবিধান। শেখ হাসিনা এই সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে এমন একটি সংবিধান তৈরি করেছে। এই সংবিধান তো বাকশালি সংবিধান, এই সংবিধান তো কর্তৃত্ববাদী সংবিধান। তাহলে এই সংবিধানের অজুহাত দিয়ে কেন আপনারা বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিতে, সংস্কার করতে দেরি করছেন?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা তো নিজেরাও সংবিধানের আওতায় ক্ষমতায় আসেননি, কিন্তু জনসমর্থন আপনাদের প্রতি রয়েছে। আপনাদের সবকিছু দ্রুত গতিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনাদের কাজের গতির তীব্রতা যদি কমে যায়, তাহলে এটা জনগণের কাছে অ্যাকাউন্টটিবিলিটির ক্ষেত্রে জনগণ মনে করবে, আপনারা সঠিক কাজ করছেন না।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তার প্রভুদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য একের পর এক কাজ করেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা সংযুক্ত করেছিলেন। এটা কি কোনো মানুষ অস্বীকার করে? আর শেখ হাসিনা যা করেছেন, সবকিছুই তো গায়ের জোরে করেছেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আধুনিক সেনাপতি, একজন আধুনিক রাষ্ট্রনায়ক, একজন আধুনিক রাষ্ট্রপতি। তিনি দেশের মানুষের ন্যূনতম চেতনাকে সম্মান দেখিয়ে সংবিধানে সংযুক্ত করেছিলেন আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস।’
বিডি-প্রতিদিন/শআ