বেত ক্ষেতের ভেতর থেকে কেমন যেন একটা গোঙানির শব্দ ভেসে আসতে থাকে। তা শুনে কিছুটা আতংকিত হন এক ব্যক্তি। তবু সাহস করে সেদিকে পা বাড়ান তিনি। দেখেন মাটি নড়াচড়া করছে। কিছুক্ষণ পর ছোট্ট এক জোড়া পা চোখে পড়ে। আর দেরি না করে মাটি খোঁড়া শুরু করেন তিনি। বেরিয়ে আসে অর্ধমৃত এক বালিকা। বয়স বছর পাঁচেক।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সিতাপুর জেলার মানপুর গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দা অলক কুমার এভাবে উদ্ধার করেছেন জীবন্ত কবর দেওয়া তনু নামের এক মেয়েকে। তনু বাস করত সিমরি গাউরা গ্রামে মায়ের সঙ্গে।
কয়েকদিন আগে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে এক দম্পতি। পুলিশ ধারণা করছে, তারাই তাকে শ্বাসরোধ করার পর মৃত ভেবে মাটিতে পুঁতে রাখে।
সিতাপুর পুলিশ প্রধান রাজেশ কৃষ্ণ বলেন, ‘তনু আমাদের বলেছে, তাকে একজন পুরুষ এবং মহিলা তুলে আনে। পরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর পর তার আর কিছু মনে নেই।’
এদিকে তনুর বাড়ির আশপাশের লোকজন জানিয়েছে, গত ২০ আগস্ট থেকে তনুর মা এবং তনুকে তারা বাড়িতে দেখেনি। ঘর তালাবদ্ধ।
এদিকে তনুর এক আত্মীয়া পুলিশকে বলেছেন, ‘রেনু(তনুর মা)আমাদের কাছে গত কয়েকমাস ধরে ছিল। প্রায় ১৫ দিন আগে সে কাউকে কিছু না বলে চলে যায়।’
ধারণা করা হচ্ছে, ২০ আগস্টের পর তনুর মাকেও অপহরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তনুকে তার দাদির কাছে রাখা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তনুর মাকে পাওয়া গেলে এই হত্যাচেষ্টার মোটিভ জানা যাবে। সেই সঙ্গে দুষ্কৃতিদের পরিচয় পাওয়া যাবে।