টাকার জন্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীকে ১৭ দিন কুকুরের শিকল দিয়ে বেঁধে গৃহবন্দি করে রাখল তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে৷ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরে। অভিযুক্ত স্ত্রী নাগারত্না ও এক ছেলে চেতনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরেক ছেলে রঞ্জন পলাতক।
জানা গেছে, জুন মাসে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন ভি ভেঙ্কটেশ। সাব-ইন্সপেক্টর পদে ছিলেন তিনি। তাঁর দুই সন্তানই প্রতিষ্ঠিত, ইঞ্জিনিয়ার। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অবসর জীবনটা শান্তিতে কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
কিন্তু পেনশনের টাকা-পয়সা পাওয়ার পর থেকেই পরিবারের লোকজনের ব্যবহার বদলে যেতে থাকে। অবসরের পর পিএ, গ্র্যাচুইটি বাবদ ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই টাকা আদায়ের জন্য বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে ছেলে চেতন ও রঞ্জন। ভেঙ্কটেশ তাতে রাজি না-হওয়ায়, তার স্ত্রী নাগারত্না ও দুই ছেলে মিলে তাকে খাটের সঙ্গে কুকুরের শিকল দিয়ে বেঁধে দেন। তার ওপর চলে অকথ্য অত্যাচার। এমনকি পায়খানা করার জন্য তার ঘরে দেওয়া হয় বেড প্যান। ওই একই ঘরে দেওয়া হয় খাবারও। সতেরো দিন ধরে চলে এমন অমানষিক অত্যাচার।
এদিকে তাকে বেশ কয়েকদিন দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন ভাই ভি রামাচন্দ্রা। কিন্তু ভেঙ্কটেশের ছেলেদের এবং বউদির ব্যবহারে তার সন্দেহ হয়। তিনি বাড়ির মধ্যে যেতে চাইলে নানা ছুতোয় তাকে আটকাতে শুরু করেন তারা। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন রামাচন্দ্রা। সার্চ ওয়ারেণ্ট ইস্যু হয়৷ পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে বন্ধ ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার করেন ভেঙ্কটেশবাবুকে। ততদিনে ষাট বছরের মানুষটি প্রায় আধমরা হয়ে গেছেন। আদালতে তোলা হলে, বিচারক আটক নাগারত্না ও চেতনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এছাড়া রঞ্জনের খোঁজ করছে পুলিশ।