শখ পূরণে মালয়েশীয়ায় এক ব্যাক্তি তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে এক বাংলাদেশী শ্রমিকের সঙ্গে যৌনমিলনে বাধ্য করেছেন। এই অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ও নিজাম নামের ওই বাংলাদেশী শ্রমিককে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে। খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার দ্য স্টার অনলাইন। তবে পত্রিকাটি ওই স্বামী ও স্ত্রীর জাতীয়তা বা তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। ঘটনাটিকে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার আওতায় ধর্ষণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পেতালিং জয়ার গোমবাক ওসিপিডি সহকারী কমিশনার আলি আহমাদ মঙ্গলবার জানান, ওই নারীর বয়স ২৭। তিনি অন্তঃসত্বা। গত রবিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তিনি স্বামীর কাছ থেকে একটি ফোন পান। তাকে বলা হয়, রাতে সে একজন বাংলাদেশী লোককে নিয়ে ফিরবে। তার সঙ্গে তাকে যৌন সঙ্গম করতে হবে।
ওই পুলিশ কমিশনারের বর্ণনামতে, ‘স্বামীর ফোন পেয়ে আতঙ্কিত মহিলা বাসা ত্যাগ করেন। এবং পুলিশের সাহায্য চান। কারণ এবারই প্রথম তিনি স্বামীর কাছ থেকে এরকম ফোন পাননি। এর আগেও ওই বাংলাদেশী লোকটির সঙ্গে তাকে যৌন মিলন করতে হয়েছে। লোকটির বয়স ২৬। সে একজন শ্রমিক এবং তার নাম নিজাম। তার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি কিছু তার জানা নেই। ইতোপূর্বে তাকে ওই নিজামের সঙ্গে দুই থেকে তিনবার রাত কাটাতে হয়েছে। ওই নারী বলেন, 'গত জুলাই মাসে আমি প্রথম আমার স্বামীর কাছ থেকে ওই কুপ্রস্তাব পাই। তখন আমার পেটের বাচ্চার বয়স সাত মাস।'
ওই নারীর অভিযোগ, তার স্বামী তার বন্ধুর সঙ্গে প্রথমে তার যৌনক্রিয়ারত দৃশ্য দেখতো। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হওয়ার পরে তার সঙ্গে মিলিত হতো। তবে স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলন করতে দেয়ার বিনিময়ে নিজামের কাছ থেকে তার স্বামী কোন অর্থ নেয়নি বলেও ওই স্ত্রী উল্লেখ করেন।
ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে সেলেয়াং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে তার মেডিকেল চেক-আপ হবে। পুলিশ বলেছে, আমরা চো কিট এলাকার একটি খেলনা দোকান থেকে নিজামকে এবং ওই নারীর স্বামীকে তার তামান দয়াকেপং-এর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছি।