শিক্ষিকার বিকিনি পরে নাচের ভিডিও দেখে অভিযোগ জানালেন অভিভাবকরা। তারই জেরে চাকরি গেল যুবতীর। প্রতিবাদে সোচ্চার হল সোশ্যাল মিডিয়া।
সৈকতে বিকিনি পরে নাচার মাসুল দিতে হল উত্তর মেক্সিকোর প্রাথমিক শিক্ষিকাকে। স্কুলের ছুটিতে বন্ধুদের সঙ্গে বাহা ক্যালিফোর্নিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ক্যাবো সান লুকাস সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। বন্ধুদের উৎসাহে সেখানে এক নাচের প্রতিযোগিতায় হঠাৎ অংশগ্রহণ করে প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার জেরে হারাতে হয়েছে বছর তিনেকের স্কুল শিক্ষিকার চাকরি।
আসলে প্রতিযোগিতার নিয়ম মেনে সাঁতার পোশাকে নেচেছিলেন যুবতী। বিচারকদের নজর কাড়তে শরীরের মোচড়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যৌন আবেদন। আর তার জোরেই ভাগ্যে ছেঁড়ে সেরার শিরোপা। প্রতিযোগিতার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু তাই দেখে চোখ কপালে ওঠে অভিভাবকদের।
তীব্র আপত্তি জানিয়ে তাঁরা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে এনে শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার লিখিত দাবি জানান। তার জেরে ওই যুবতীকে ডেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে কর্তৃপক্ষ।
চাকরি হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষিপ্ত যুবতী। স্কুল থেকে ৪০০ মাইল দূরের এক সৈকতে তিনি কী ভাবে ছুটি উপভোগ করছেন, সে ব্যাপারে কী কারণে আপত্তি উঠবে তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু তাই নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষকে একবিংশ শতকে প্রবেশ করার আহ্বানও তিনি জানান।
তাঁর কথায়, 'একটি নাচের প্রতিযোগিতা দেখে ব্যক্তি হিসেবে আমাকে বিচার করার প্রচেষ্টা হাস্যকর। আমি অবসর উপভোগ করছিলাম। তা ছাড়া আমরা তো ২১ শতকে বসবাস করি, আমার নাচ দেখে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই। আমি তো নগ্ন ছিলাম না। কারও সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার ছবিও প্রকাশ পায়নি। এমনকি আমাকে মাদক নিতেও দেখা যায়নি।'
এদিকে শিক্ষিকাকে অন্যায় ভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। তাঁর পুনর্নিয়োগের দাবিতে এক অনলাইন আবেদনে এই পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি সই করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন