ওর পেশার নামটা হল “humiliatrix”। মানে হল মানুষকে বশ করে শিক্ষা দেওয়া। শখ থেকে এখন এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে পোর্টল্যান্ডের সিয়েরা লিঞ্চ। আর এর মাধ্যমেই এখন সে কোটিপতি। নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়েও বড় শহরে এখন ২৯ বছরের সিয়েরার দুটো পেল্লাই বাড়ি, গাড়ি। কিন্তু “humiliatrix”-এর কাজটা আসলে ঠিক কী! সিয়েরা বলছেন, বাড়িতে একটা ল্যাপটপ, ওয়েব ক্যাম আর নেট কানেকশান নিয়ে তিনি কাজটা শুরু করেছিলেন। বদমাশ ছেলেদের শায়েস্তা করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন এটা থেকে মোটা টাকা রোজগার করা সম্ভব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অ্যাকাউন্ট যত জনপ্রিয় হয়েছে, তিনি মোটা টাকার বিজ্ঞাপন পেয়েছেন। সিয়েরা বলেন, তাঁর ইনবক্সে চ্যাট ও দেখা করার নানা অনুরোধ পাঠান পুরুষরা। এদের মধ্যে যারা মহিলাদের অপমান করে, মহিলাদের শুধু পন্য বা মাংস হিসেবে ট্রিট করে তাদেরই শায়েস্তা করেন সিয়েরা। চ্যাট করার জন্য মিনিটে ১০ ডলার চার্জ করেন। কথাবার্তায় থাকে আবেগ আর যৌন সুড়সুড়ি। আর এই আকর্ষণেই অনেক পুরুষ টাকা ব্যয় করতে কার্পণ্য করেন না।
ওয়েবক্যামের মাধ্যমে চলে কথাবার্তা। অনেকের কাছে তিনি তাঁর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস বেশি দামে বিক্রি করেও মোটা টাকা রোজগার করেন। সিয়েরা কিন্তু তাঁর এই আজব পেশা নিয়ে গর্বিত। বলেন, ব্যাটাদের শায়েস্তা করতে দারুণ লাগে। সিয়েরা বলেন, তাঁর বাবা-মাও গর্বিত তাঁর কাজ নিয়ে।
ভিডিও:
বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ