বিজ্ঞান উৎকর্ষতার অন্যতম একটি কলেজ ছিল ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থিত খয়রাতাবাদ সায়েন্স কলেজ। দেশটির বিভিন্ন রাজ্য থেকে থেকে মেধাবী গবেষকরা সেখানে পড়তে যেত। কিন্তু কালের প্ররিক্রমায় সেই খয়রাতাবাদ কলেজ বিল্ডিংয়ে রাতের অন্ধকারে তো দূরের কথা, দিনেও কেউ ঢুকতে সাহস করে না।
জানা যায়, একদিন হঠাৎই আগুন লেগে যায় কলেজের গবেষণাগারে। এরপরই শুরু হয় বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না এমন সব ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগুন লাগার পর কলেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বায়োলজি ল্যাবের ভিতরে গবেষণার জন্য রাখা মৃতদেহদের সরানো হয়নি। এরপর রাতে কলেজের জানালায় কঙ্কালদের নাচতে দেখেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। অনেকে কলেজে আলোর ঝলকানি দেখেছেন, কেউ আবার রহস্যজনক আওয়াজ শোনারও দাবি করেছেন। কিন্তু কেউই এই কলেজের সামনে দিয়ে সূর্যাস্তের পর যাওয়ার সাহস করেনি।
স্থানীয়দের বিশ্বাস যাঁরা এই পোড়ো কলেজ বিল্ডিংয়ের ঢোকার সাহস করেছে তারা কেউই জীবিত ফিরে আসেনি। বছর কয়েক আগে, কলেজটি অধিগ্রহণ করে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য এক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করে সরকার। কিন্তু সেই রক্ষীও রহস্যজনক ভাবে খুন হন। অনেকেই বলেন, কলেজ পুড়ে গেলেও বায়োলজি ল্যাবের মধ্যে থাকা অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহগুলো সরানো হয়নি। অতৃপ্ত আত্মাদের কারণেই এই সব ভূতুরে ঘটনা হচ্ছে। একদিন যেখানে মেধাবী গবেষকরা গবেষণা করতো, সেখানে এখন শাসন করে ভূতেরা।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব