রাস্তার পাশে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল গরুটি। জীবদয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সদস্যরা যখন ভারতের আহমেদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন, পশু চিকিৎসক কার্তিক শাস্ত্রী প্রথমে ভেবেছিলেন গরুটির পেটে বাচ্চা রয়েছে। বোধহয় শারীরিক দুর্বলতার জন্য হাঁটাচলা করতে পারছে না।
গরুটির শারীরিক পরিস্থিতি দেখে তিনি অস্ত্রোপচার করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু, অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে হতবাক পশু চিকিৎসক। প্রায় ১০০ কেজি প্লাস্টিক ও বর্জ্য পদার্থ ছিল গরুটির পেটে। যা একে একে বার করেছেন তিনি। শুধু প্লাস্টিক নয় স্ক্রি, পেরেক, বিদ্যুতের তার সবই ছিল এই আবর্জনার মধ্যে।
রাস্তায় পড়ে থাকা গরুর পেট থেকে আবর্জনা বের হওয়া কোন নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও ২৫ থেকে ৪০ কেজি মতো আবর্জনা পাওয়া গেছে। তবে এত বেশি পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ কোন প্রাণীর দেহ থেকে পাওয়া একটা বড় ব্যাপার বলে জানিয়েছেন কার্তিক শাস্ত্রী। এর জন্য তিনি মানুষের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করেছেন৷ কারণ গরুটির পেট থেকে যে প্লাস্টিক মিলেছে, তার ৯৮ শতাংশই নিষিদ্ধঘোষিত প্লাস্টিক।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব