প্রতি মাসেই ঘটে চলে হাজার হাজার ঘটনা। তবে তাদের ভেতরেও থাকে কিছু আলাদা রকমের ঘটনা যেগুলোর দিকে আমাদের চোখ একটু বেশিই আটকে যায়। মনেও থাকে বেশ কিছুদিন আর সেই ঘটনাগুলোর রেশও থেকে যায় আমাদের ভেতর। আর এমনই কিছু মজার আর অন্যরকম কিছু খবর নিয়ে আমাদের এই আয়োজন। চলুন একবার দেখে আসি গত মাসের চমকপ্রদ ঘটনাগুলোকে।
১. ভীনগ্রহবাসীদের খোঁজ
অবশেষে দ্বিতীয়বারের মতন ভীনগ্রহবাসীদের বাসস্থানের খোঁজ পেয়েছে বিজ্ঞানীরা গত মাসে। এর আগে ট্যবিস স্টার নামে পরিচিত স্থানটি মাঝে মাঝেই অত্যাধিক প্রজ্জ্বলিত হয়ে, মাঝে মাঝেই হালকা হয়ে কখনো আবার কালচে রূপ ধারণ করতো বলে এর মতিগতি দেখে অনেকেই এখানে ভীনগ্রহবাসীরা আছে মনে করতো। তবে এই সবকে পার করে গত মাসে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা ভীনগ্রহবাসীদের কাছ থেকে একটি সংকেত পান। একই সৌরবর্ষ থেকে আসা এই রেডিও সংকেতটি আসছে এইচডি১৬৪৫৯৫ থেকে। সত্যিই কি ভীনগ্রহবাসীরা আছে সেখানে? দেখাই যাক!
২. বদলে গেল স্লোগান
গত মাসে অনেক অনেক বছরের চেষ্টার পর অবশেষে পাল্টে গিয়েছে পশ্চিম কানাডার ছোট্ট শহর টিজডেলের শ্লোগান। নামের নীচে সবসময় একটা শ্লোগান ব্যবহার করে শহরটি। সেটা লেখা থাকে শহরের প্রবেশমুখেও। ভাবছেন, একটা শহরের শ্লোগান বদলে যেতেই পারে। তাতে এত বলার কী আছে? কিন্তু যখন শ্লোগানটি হয়- টিজডেল, দ্যা ল্যান্ড অব রেইপ এন্ড হানি? টিজডেল রাইসরিষার জন্যে বিখ্যাত। কিন্তু তাই বলে রেইপের অর্থটা শহরটির কাছে রাইসরিষা হলেও পর্যটকদের কাছে নিশ্চয় সেটা হবেনা। বিশেষ করে প্রথম দেখায় অন্যরকম বাজে কোন অর্থ বের করে ফেলতে পারেন সবাই এই শ্লোগানটির। তাই অবশেষে পাল্টে দেওয়া হয়েছে টিজডেলের শ্লোগান।
৩. একই সাথে ধ্বংস হল দুইটি প্রচীন স্থান
গত মাসে একই সাথে এক দিন আগে-পিছে সংঘটিত হওয়া ভূমিকম্পে ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছে ঐতিহাসিক, নৃতাত্ত্বিক ও কারুকার্যের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা দুইটি প্রাচীন স্থান। এর একটি হল মিয়ানমারের বাগান। ২৫শে আগস্ট ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেবল মানুষই মারা যায়নি, ভেঙে গিয়েছে প্রচীন কারুকার্যময় ও ঐতিহাসিক ২০০ টি মন্দির। সেইসাথে নষ্ট হয়েছে আরো ৫০০ টি মন্দির। একদিন পরে সংঘটিত হওয়া আরেকটি ভূমিকম্পে বাগানের মতনই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে রেকটি প্রাচীন আর ঐতিহসিক স্থাপনার নগরী, ইতালির এ্যামাট্রিস।
৪. চীনের সিরিয়াল কিলার
২০০২ সালের কথা। কুই জিনপিং নামের এক নারীকে নিজের ফ্ল্যাটে মৃতাবস্থায় পাওয়া যায়। সেসময় কুইয়ের জীহ্বা চেরা ছিল। শুধু তাই নয়, তার শরীর থেকে হাত, কান আর বুক কেটে আলাদা করে নেওয়া হয়েছিল। খুনের আগে কুইকে ধর্ষণও করেছিল খুনী। আর এই ঘটনা কেবল একবার নয়, বারবার ঘটতে থাকে। ফলে জ্যাক দ্যা রিপারের মতন চীনের জ্যাক দ্যা রিপার নামকরণ করা হয় অজানা সিরিয়াল কিলারের। এই আগস্টে অবশেষে পুলিম আটক করতে সক্ষম হয়েছে সেই বছরের পর বছর ধরে খুঁজে আসা রিপারকে। সাধারণ এক নাগরিককে রুটিন চেকআপে নিতেই রিপারের ডিএনএর সাথে সম্পর্কিত এই ব্যাক্তি এমনটা তথ্য পায় পুলিশ। পরবর্তীতে খোঁজ মেলে খুনীর। ধৃত ব্যাক্তির চাচা, ৫২ বছর বয়সী গাও চেঙইয়ং। জেরার সময় বের হয়ে আসে যে আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হওয়া এই মুদি দোকানদার ১৯৮৮ থেকে ২০০২ সাল অব্দি এভাবেই হত্যা করেছে ১১ জন নারীকে। যাদের ভেতরে সবচেয়ে ছোট জন ছিল মাত্র ৮ বছর বয়সী। তবে কেবল বিকৃত আনন্দের জন্যেই এমন করতো সে। আর কোন কারণ ছিলনা।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর