৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১১:৩৬

ক্যান্সার সারিয়ে দিলো 'গরুর চিকিৎসা'

অনলাইন ডেস্ক

ক্যান্সার সারিয়ে দিলো 'গরুর চিকিৎসা'

পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত অমিত বৈদ্যকে চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন তিনি আর মাত্র মাস ছয়েক বাঁচবেন। সেটা চার বছর আগের কথা। লস অ্যাঞ্জেলসে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অমিত জীবনের শেষ দিনগুলো স্বদেশে কাটাবেন বলে ভারতে ফিরে গেলেন। আর সেখানে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করলেন 'কাউ থেরাপি' বা 'গরুর চিকিৎসা'। শুরু করেন গরুর মূত্র আর কাঁচা দুধ পান করা। এমনি টাটকা গোবরে গোসলও করতে থাকলেন। এ কাজগুলো করে সত্যি সত্যি ক্যান্সার থেকে মুক্ত হলেন অমিত। 

টার্মিনাল স্টমাক ক্যান্সার থেকে মুক্তির এই অদ্ভুত কাহিনী নিয়ে অমিত লিখলেন 'গলি ক্যান্সার, হাউ এ কাউ সেভড মাই লাইফ'। 

দিল্লির আমেরিকান এম্বেসি স্কুলে পড়তেন অমিত বৈদ্য। ইকোনমিক্সে পিএইচডি করেছেন তিনি। বাইপাস সার্জারির সময় সময় বাবা মারা গেলে মাকে নিয়ে নিউইয়র্ক চলে যান তিনি। সেখান তার নিজের পাকস্থলীর ক্যান্সার ধরা পড়লো। থমকে গেলেন অমিত। তার যত্ন নিতে থাকলেন মা। এর পর পরই ধরা পড়লো মায়ের হয়েছে ব্রেইন টিউমার। মায়ের জন্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করলেন অমিত। এক বছর পর মাও মারা গেলেন। ততদিনে পাকস্থলী ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস, লিভার ও মেরুদণ্ডে। ছয় মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হলো তাকে। ভারতে ফিরে আসার পরিকল্পনা করলেন তিনি। 

সুস্থ হওয়ার যাত্রা শুরু করলেন গুজরাটের একটি গরুর হাসপাতাল থেকে। ওই হাসপাতালের দাবি, তারা ক্যান্সার ভালো করতে সক্ষম। নিউইয়র্কের বিলাসী পেন্টহাউজ ছেড়ে ছোট একটি গ্রামে থাকা শুরু করলেন অমিত। খালি মাঠ আর আনারের গাছে পরিপূর্ণ গ্রামটিতে অনেক ভয় আর অনিশ্চয়তা নিয়ে নাটকীয়ভাবে চিকিৎসা শুরু হলো অমিতের।

ওই হাসপাতালে দুই মাস থাকলেন তিনি। দেশি গরুর ব্যবহারে ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হলো। পান করতে শুরু করলেন  'পঞ্চগাভি (দেশি গরুর দুধ ও দুধ থেকে তৈরি ঘি, দই, মূত্র এবং গোবরের মিশ্রণ)'। গোবরে গোসল করতেন ঘণ্টা ধরে। প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৪টায় তার দৈনন্দিন কাজ শুরু হলো। এক ঘণ্টা মেডিটেশন, ৪৫ মিনিটের ইয়োগা  আর ২০ কিলোমিটার হাঁটা ছিল তার প্রতিদিনের কাজ। এসব করে জীবনটা হয়ে উঠলো গোছালো। মূলত এই গাঁয়ের মাটি আর গরুর সঙ্গেই জুড়ে গেলেন তিনি।

হাসপাতালের বেঁধে দেওয়া এসব নিয়ম দিন দিন কঠিন ও দ্রুততর হতে থাকলো। সব খাবার খেতে থাকলেন পথ্য হিসাবে। হার্বাল গাছের পাতা ও অন্যান্য উদাপান কাঁচা চিবিয়ে খেতেন। তুলসি, হলুদ বা আদা সবাই কাঁচা খেতেন। প্রতিবার ক্যান্সার দেখতে স্ক্যান করা হলে অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে দেখা গেলো। এক সময় তার হাঁটা দৌড়ে পরিণত হলো। পথের প্রতিটি বাধা টপকে যেতে থাকলেন। ওই হাসপাতাল ও গ্রামের জীবন তাকে যাবতীয় প্রাচুর্য প্রদান করলো। ইন্টারনেট থেকে। 

 


বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর