বাড়িতে শৌচাগার না থাকলে মিলবে না পাসপোর্ট! এমনকি আবেদনও জমা নেওয়া হবে না। আর এ নিয়ে লুকোচুরিরও সুযোগ নেই। পুলিশ বাড়িতে গিয়ে শৌচাগার 'ভেরিফিকেশন' করে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিলেই জমা নেওয়া হবে পাসপোর্টের আবেদন।
এমন নির্দেশ দিয়েছে ভারতের মধ্য প্রদেশের কান্তি জেলা প্রশাসন। শৌচা ভারত ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কান্তি জেলার পুলিশ কমিশনার (এসপি) গৌরব তিওয়ারি।
তিনি জানান, পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীকে ‘বাড়িতে শৌচাগার আছে’ এ মর্মে পৌর কর্মকর্তা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাক্ষরসহ সনদপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এতেই চলবে না, বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখে আসবে- তবেই পাসপোর্টের আবেদন নেওয়া হবে।
খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ রোধ করতে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় পঞ্চায়েত ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৫ লাখ শৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।
ভারতকে পরিচ্ছন্ন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। তাকে সমর্থন দিয়েছে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কিন্তু একদিকে যখন মোদির 'স্বচ্ছ ভারত' অভিযান চলছে, অন্যদিকে দেশটির প্রত্যন্ত অনেক এলাকায় কোন শৌচাগারই নেই। ইদানিং অনেক বিয়েতে উপহার হিসেবে শৌচাগার দেওয়ার প্রচলনও শুরু হয়ে গেছে দেশটিতে। অনেক বিয়ে ভেঙে গেছে বাড়িতে শৌচাগার না থাকায়। সব মিলিয়ে ভারত সরকার এবার শৌচকার্যে দেশের সকল মানুষকে বাগান, ঝোপঝাড় ও মাঠ থেকে 'আবদ্ধ ঘরে' টেনে আনতে বদ্ধ পরিকর। তবে এই পাসপোর্ট পদ্ধতি কতটুকু কাজে আসবে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। কারণ যেসব পরিবারে শৌচাগার নেই, সেগুলো সাধারণত অশিক্ষিত, দরিদ্র অথবা প্রান্তিক মানুষ। তাদের কতজনের যে পাসপোর্ট দরকার পড়বে সেটাই বিবেচ্য।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ