শুভ পরিণয়েও নোটের হাহাকার। বিয়ের মৌশুমে বিষম সিদ্ধান্ত। হাতে টাকা। তবু হাতখালি। বিয়ে দিতে গিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন বাবা মায়েরা।
মানুষের হাতে টাকা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর এক কথাতেই এখন তা অচলপত্রে পরিণত হয়েছে। আর মোদির সেই সার্জিকাল সিদ্ধান্ত, এখন স্ট্রাইক করেছে বিয়ে বাড়িতেও।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যেত মুখের সামনে টাকা ঘুরিয়ে বরকে বরণ করতে। কিন্তু প্রধামন্ত্রীর নতুন সিদ্ধান্তের পর আর হয়তো আর সেই ছবি দেখা যাবে না।
ভারতের আমতার কেদার চক্রবর্তী। সামনেই মেয়ের বিয়ে। ব্যাংকে টাকা রয়েছে। কিন্তু, হাত খালি। কী করবেন কেদার চক্রবর্তী? ধার নেবেন? কিন্তু ধার দেবেন কে?
কেদার চক্রবর্তীর মতোই কন্যাদায় সিধা মোহন রায়ের। নোট সঙ্কট তাকে করেছে শয্যাশায়ী। মেয়ের বিয়ের জন্য তিল তিল করে ৪৫ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন দিনমজুর সিধামোহন। বাজারে গিয়ে জানলেন সে নোট অচল। হৃদরোগে আক্রাম্ত হয়ে তিনি এখন হাসপাতালে। নোট সঙ্কটে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে তার চিকিৎসার পথেও। টাকার কালো মুছতে সাফাই অভিযান। বেঁধে দেওয়া হয়েছে নতুন নোটের লিমিট। কেন্দ্র বলছে, বাজার করুন অনলাইনে। আমতার কেদার চক্রবর্তী আর রাজগঞ্জের সিধামোহন বাজার করবেন অনলাইনে? সম্ভব? উত্তর নেই রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ নভেম্বর ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন