প্রেমিকা ফেসবুকে আসক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিকার একাধিক পুরুষ বন্ধু রয়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই ফেসবুকে ব্যস্ত প্রেমিকা। আর এতেই বিয়েতে বেঁকে বসল প্রেমিক।
এদিকে দীর্ঘদিনের সম্পর্কে প্রেমিক বিয়েতে বেঁকে বসতেই তার বিরুদ্ধে পাল্টা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করল প্রেমিকা। ভারতের কলকাতার নেতাজিনগর থানার এই ঘটনায় ফের সামনে এল ব্যক্তিজীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে নিরাপত্তহীনতার প্রসঙ্গ।
জানা গেছে, হাইল্যান্ড পার্কে একটি শপিংমলে কাজ করত সেই যুগল। একসঙ্গে কাজ করার সূত্রেই ২৪ বছরের সোমনাথ কুণ্ডুর সঙ্গে আলাপ হয় কুড়ি বছরের সেই যুবতীর। পরে সেই আলাপ গড়ায় বন্ধুত্বে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, প্রেমে পরিণতি পায়। পারিবারিক সূত্রে খবর, দুই বাড়ির মধ্যে বিয়ের কথাও হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু প্রেমিকার ফেসবুক আসক্তি নিয়ে মাঝমধ্যেই দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হত। ঝগড়া লেগে থাকত। ফেসবুকে প্রেমিকার অনেক পুরুষ বন্ধুতে আপত্তি ছিল সোমনাথের। কিন্তু প্রেমিকের সেই আপত্তি কানেই তোলেননি প্রেমিকা। জানা গেছে, বুধবার রাতে ফেসবুকে চ্যাট করা নিয়েই দুজনের মধ্যে ফের তুমুল কথা কাটাকাটি হয়।
এরপরই বিয়েতে বেঁকে বসেন সোমনাথ। কোনওরকম সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করেন তিনি। বিয়ে করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রেমিকাকে। আর তারপরই নেতাজিনগর থানায় প্রেমিক সোমনাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন সেই যুবতী।
সেই যুবতির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সোমনাথের সঙ্গে তার সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহুবার তার সঙ্গে সহবাস করেছেন সোমনাথ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সোমনাথকে গ্রেফতার করেছে নেতাজিনগর থানা।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর