নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জে নিরুপায় হয়ে চোরদের প্রতি মানবিক আবেদন জানিয়ে ব্যানার টানিয়েছেন পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মাহবুবুন নবী শেখ। মোহনগঞ্জ পৌর শহরের দক্ষিণ দৌলতপুর এলাকার শেখবাড়ীর বাসিন্দা মাহবুবুন নবী প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ছোট মামা।
বিষয়টি ফেসবুকে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নানা জন বিভিন্নভাবে ব্যানারের ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করছেন। তেমনই মিজানুর রহমান নামের একজনের ফেসবুকে লিখেছেন ‘সবাই হা হা দিচ্ছেন। ব্যাপারটা কতটা বেদনার কী করে বুঝাই। যিনি এই প্রজ্ঞাপন ঝুলিয়েছেন তিনি একজন সাবেক পৌর মেয়র। এই বাড়িটা হুমায়ূন আহমেদের নানা বাড়ি। এইখানেই হুমায়ূন আহমেদ জন্মেছিলেন। মোহনগঞ্জ আমারও শহর। ঢাকায় থেকে প্রায় দিনই এলাকায় ঘটে যাওয়া চুরির খবর দেখতে পাই ফেসবুকে। খারাপ লাগে। এগুলোর কোন সমাধান নাই?’
ব্যানারে মেয়র লিখেছেন, ‘চুরির সঙ্গে সম্পৃক্তদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের বাড়িতে চুরি করার মতো মূল্যবান কোনো সম্পদ নেই। তাই আমাদের বাড়িতে চুরির চেষ্টা করে আপনাদের মূল্যবান সময়ের অপচয়। অপরদিকে চুরির পর ঘর গোছানো আমাদের জন্য কষ্টের কাজ। ভবিষ্যতে চুরির পরিকল্পনায় বিষয়গুলি আমলে নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল।’
সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘মোহনগঞ্জ পৌর শহরে চুরির ঘটনা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। চোরেরা এতটাই কৌশলী যে এক মুহূর্তের জন্য কক্ষের বাইরে গেলে সব চুরি করে নিয়ে যায়। তালা দিয়েও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশে জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। পুলিশ চোর ধরে আদালতে পাঠালে পরদিনই জামিনে এসে আবার চুরি শুরু করে। চোরের কাছে আমরা অসহায়। তাই ব্যানারে লিখে চোরের কাছেই অনুরোধ জানিয়েছি।’
মোহনগঞ্জ পৌর শহরের ব্যবসায়ী সমিতির নেতা শ্যামল মোল্লাহ বলেন, ‘মাস খানেকের মধ্যে বাজারের চার-পাঁচটি দোকানে চুরি হয়েছে। লাখ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।’
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চুরির ঘটনায় গত কয়েক মাসে অনেক গ্রেপ্তার হয়েছে। কিছুদিন পর জামিনে এসে আবার চুরি শুরু করলে ফের তাঁদের গ্রেফতার করছি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাতের পাহারাও বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জনগণকেও চুরি রোধে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল
