চীনে পোষা প্রাণীদের জন্য ক্যাফেগুলো একটি জনপ্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রাণীপ্রেমীরা তাদের প্রিয় পোষাপ্রাণীদের সাথে সময় কাটাতে পারেন। এই নতুন ট্রেন্ডে পোষা প্রাণীদের ক্যাফেতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে তারা (প্রাণীরা) অন্যান্য প্রাণীদের সাথে মিশতে পারছে এবং স্ন্যাক্স উপার্জন করতে পারছে।
এই প্রবণতাটি ‘জেংমাওতিয়াওকিয়ান’ নামে পরিচিত যার অর্থ ‘স্ন্যাক্স উপার্জন করা’ এবং এটি চীনের পোষাপ্রেমী সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
এই ক্যাফেগুলোর মালিকেরা প্রবেশ ফি এবং খাবার-দাবারের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন। প্রতিজনের জন্য প্রবেশমূল্য ৩০-৬০ ইউয়ান (প্রায় ৫৪০-১,০৮০ টাকা) ধার্য করা হয়, অথবা কাস্টমাররা শুধুমাত্র পানীয় অর্ডার করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোষাপ্রাণীদের ‘কর্মী’ হিসেবে নিয়োগের বিজ্ঞাপন এবং সিভিতে ভরে যাচ্ছে।
ফুঝোউ-এর একটি ডগ ক্যাফেতে নিজের ২ বছর বয়সী সামোয়েড কুকুর ‘ওকে’ পাঠাচ্ছেন প্রাণীটির মালিক জেন শু। তিনি জানান, ‘ওকে অন্যান্য কুকুরদের সাথে খেলতে পারে এবং একাকীত্ব অনুভব করে না।’ এছাড়াও, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে এয়ার কন্ডিশনারের খরচও বাঁচে বলে উল্লেখ করেন শু। ক্যাফের মালিক ওকে'র ব্যবহার এবং অন্যান্য কুকুরদের সাথে তার সামঞ্জস্য পরীক্ষা করেন এবং সফল হলে তাকে ‘চাকরি’ দেওয়া হয়।
তবে, সকল পোষাপ্রাণীই এমন সফলতা পায় না। আরেক পোষাপ্রাণীর মালিক শিন শিন তার টাক্সিডো বিড়াল ‘ঝাং বুএর’-এর জন্যও চাকরির খোঁজ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝাং বুএর-এর সিভি দেওয়া হয়েছে যেখানে লেখা হয়েছে, সে ‘অনুগত এবং মিউমিউ করে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে।’
২০১১ সালে চীনে প্রথম ক্যাট ক্যাফে খোলার পর থেকে এই শিল্পটি প্রতি বছর ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সিবিএনডেটা জানিয়েছে। পোষাপ্রাণীদের এই নতুন কর্মজীবন মহামারির সময়ে আরও জনপ্রিয় হয়েছে এবং পোষাপ্রাণী মালিকদের মধ্যে এটি একটি মজার প্রবণতা হয়ে উঠছে। সূত্র : এনডিটিভি
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল