তামিলনাড়ু সরকার সাপের কামড়কে 'পাবলিক হেলথ অ্যাক্ট'-এর আওতায় একটি নোটিফায়েবল (অবহিতকরণ) রোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো সাপের কামড়ের ঘটনার সঠিক তথ্য সংগ্রহ, চিকিৎসার অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অ্যান্টি-স্নেক ভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করা, যা এই কারণে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস করতে সহায়ক হবে।
এখন থেকে হাসপাতালগুলোকে সাপের কামড়ের তথ্য রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত রাজ্যে ৭,৩০০টি সাপের কামড়ের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে এবং ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৯,৭৯৫টি, যার মধ্যে ৪৩ জন মারা যায়। ২০২২ সালে সাপের কামড়ের ঘটনা ছিল ১৫,১২০টি এবং মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জনের।
কর্মকর্তারা জানান, সাপের কামড়ের সব ঘটনা হাসপাতালে রিপোর্ট করা হয় না, ফলে সঠিক তথ্য সংগ্রহে ঘাটতি রয়ে যায়। যদিও মৃত্যুর ক্ষেত্রে তথ্য অপেক্ষাকৃত সঠিক, তবে সরকার আরও সঠিক তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দিচ্ছে যেন সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-ভেনম সরবরাহ করা যায়।
তামিলনাড়ুর উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় পর্যাপ্ত অ্যান্টি-স্নেক ভেনমের অভাবে চিকিৎসা বিলম্বিত হয় এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই পদক্ষেপটি ঘাটতিগুলো পূরণ করতে এবং সমস্যাটি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে বলে আশা করছে সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সাপের কামড়জনিত মৃত্যু ও অক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে একটি বৈশ্বিক কৌশল চালু করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল