সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ি বহরে হামলা এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় চার নেতাকর্মী হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আরও এক আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম আতিকুর রহমান আতিক (২৬)।
জানা গেছে, আতিকুর নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন গ্রামের কাজী ফজলুল হকের ছেলে এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সে নীলফামারী সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে সৈয়দপুর উপজেলার ধলাগাছ নাড়িয়া ডাঙ্গা নামক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। এরপর নিহতের ছবি দেখে লাশটি সনাক্ত করেছেন তার ভাবী রেহেনা পারভীন।
রেহেনা জানান, জেনেছি গত ১৪ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলার দেবিডুবা গ্রামে নিকট আত্মায় বাবুল খানের বাড়ি থেকে আতিককে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোর্শেদ আযম জানান, নিহত আতিক টুপামারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে সৈয়দপুর পুলিশ নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি উল্লেখ করে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফিরোজ কবির জানান, সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিহতের কোনও স্বজন থানায় আসেননি। লাশের ডান কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বাবুল আকতার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর রামগঞ্জের সহিংসতায় নিহত ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর ভাই রাশেদ আলম চেৌধুরীর দায়ের করা মামলার চার নম্বর আসামি ছিল আতিক।
রামগঞ্জের সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় এনিয়ে দুইজন আসামির লাশ উদ্ধার করলো পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর রামগঞ্জে আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা এবং আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মী হত্যার ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীর লাশ পলাশবাড়ি মাস্টারপাড়ার সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নীলফামারী থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।