তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শেরপুর ও জামালপুর জেলার সীমান্তবর্তী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জামালপুরের ছনকান্দা গ্রামের এক দোকানদারের সাথে শেরপুরের চরপক্ষিমারী গ্রামের এক ইজিবাইক চালকের মধ্যে মোবাইলের সিমকার্ড নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এ ঝগড়ার জের ধরে শেরপুর ও জামালপুর জেলার সীমান্তবর্তী চরপক্ষীমারী ও ছনকান্দা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘষের্র সূত্রপাত হয়।
সকালে মাইকিং করে উভয় গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ লাঠিসোঠা, বল্লম, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্রহ্মপুত্র সেতুসংলগ্ন ফেরিঘাট এলাকায় সমবেত হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ২০টি বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
জামালপুর জেলার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ঘটনায় এখনও উভয় গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই গ্রামের সীমান্তে দু'জেলার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।