উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনের আগে ও পরে মোট পাঁচদিন সেনাবাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্র।
আজ বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হযেছে বলে জানা গেছে। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
কমিশনের একটি সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনের আগের দু'দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দু'দিনসহ মোট পাঁচ দিন সেনা মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় থাকবে। মোট ছয়টি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি দফা নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকবে।
সূত্র আরো জানায়, বৈঠকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সিইসর সভাপতিত্ব কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), এসবি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক, ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক, এনএসআই, র্যাব, আনসারের মহাপরিচলকসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ, মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, ইসির সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারি, বাছাই শেষ হবে ২৭ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ ফেব্রুয়ারি। আর প্রথম দফায় ১০২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।