ভারতে নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে অদূর ভাবিষ্যতে তিস্তা সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে নাসিম বলেছেন, 'ভারতে এখন নির্বাচন হচ্ছে। আমরা আশা করছি সেখানে নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে অদূর ভাবিষ্যতে তিস্তা সমস্যার সমাধান হবে।'
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, '১৪ দল মনে করে, তিস্তার পানির ন্যায্য অধিকার আমাদের রয়েছে। এটা দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমরা আশা করি খুব শিগগিরই তারা এই সমস্যার সমাধান করবে।'
তিনি বলেন, 'তিস্তা নিয়ে আমাদের অনেকবার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। আমরা এটা নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছিলাম। কিন্তু ভারতের একটা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতায় এই চুক্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই বিষয়টা নিয়ে বিব্রত বোধ করেছেন।'
তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'বিএনপির নেতৃত্বে লংমার্চের নামে গাড়ি মার্চ শুরু হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকতে তিস্তা নিয়ে কোনও কাজ করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকতে তিস্তা নিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করেছে। অতীতে আমরাই গঙ্গা চুক্তি করেছিলাম।'
নাসিম অভিযোগ করে বলেন, '৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে বিএনপি'র নেতাকর্মীরা হতাশ। তাই তারা এখন নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে তিস্তাকে ইস্যু বানিয়েছে।' বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করলে সরকার তাদের কোনও ধরনের বাধা দেবে না বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
এছাড়া ১৪ দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাম্যবাদি দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলাস, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল, সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, গণ আজাদী লীগের আলহ্বাজ আবদুস সামাদ, কমিনিস্ট কেন্দ্রের ডা. অসীত বরুণ রায় প্রমুখ।