বঙ্গবন্ধু সেতুতে ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগির উদ্ধার কাজ চলছে। ঈশ্বরদী ও ঢাকা থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
রবিবার রাত ১০টা ৫৫মিনিটে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৭নং পিলারের কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হন। রাতেই দমকল বাহিনী ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রাতেই রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বগিগুলো উদ্ধার এবং লাইন মেরামতের পর সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি সেতুর ৭নং পিলারের কাছে পৌঁছলে প্রবল বাতাসের তোড়ে প্রথমে ট্রেনের পিছনের বগিটি লাইনচ্যুত হয়। পরে একে একে ৯টি বগি লাইন থেকে হেলে পড়ে। যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ট্রেনের জানালা দিয়ে ব্রিজের উপর লাফিয়ে পড়লে অন্তত ২০ জন আহত হন।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের জিএম আব্দুল আওয়াল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন।
ঘটনাটি তদন্তে পশ্চিমাঞ্চল রেলেওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোজাম্মেল জক বলেন, ‘ট্রেনটি ব্রিজের গাইডওয়ালের ওপর পড়ায় সেতুর মূল স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে। কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা পরীক্ষা করে জানা যাবে।’