ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, 'ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে সরকার পরিবর্তন হলেও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে কোনও পরির্বতন হয় না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সু-সম্পর্ক সরকার পরিবর্তন হলেও তা বজায় থাকবে।'
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'অটোল বিহারী বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার গত মেয়াদে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা দিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদিও নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টা মাথায় রাখবেন।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার প্রেক্ষাপটের কথা স্বরণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'তিনি (শেখ হাসিনা) দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগ সভাপতি হয়ে দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। দলকে সু-সংগঠিত করে তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হন। এর দ্বারা প্রামাণ হয় আমরা শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের প্রধান করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম।'
জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, 'শেখ হাসিনা দেশে ফিরে ৬টি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন। এগুলো হলো- সামরিক শাসনের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ নির্মূলের পদক্ষেপ এবং নারীর ক্ষমতায়ন।'
এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে তথ্যমন্ত্রী তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে বলেন, 'স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, গণতন্ত্র রক্ষায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অতন্দ্র প্রহরীর মত সজাগ থাকতে হবে এবং দেশ গড়ার কাছে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।'
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।