রাডার ক্রয়-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দেননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আবেদন করেছেন। এরশাদের রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৫ মে রাডার ক্রয়-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। ওই দিন ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আব্দুর রশিদের আদালত মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৯ মে তারিখ ধার্য করেন।
ওই দিন রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মসমর্পণের দিন ধার্য ছিল। এরশাদসহ এ মামলার অন্য দুই আসামি বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। তারাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলার আরেক আসামি এ কে এম মুসা পলাতক আছেন।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এ মামলা করে। এতে অভিযোগ করা হয়, তৎকালীন বিমানবাহিনীর প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন।
জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুইটি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এরশাদসহ বাকি আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেন।
১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এরশাদসহ চার আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।