নিখোঁজ বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমানকে ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যকার পতাকা বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। এ নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছাড়ি সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিজিবি-বিজিপি'র মধ্যে গোলাগুলি চলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। দুপুরের পর থেকে তারা বিজিবি আর বিজিপির মধ্যে গোলাগুলির শব্দ পেয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় কোনো লোকজনকে যেতে দিচ্ছে না বিজিবি।
বিজিবি'র ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পাইনছড়ি ৫২ নং সীমান্ত পিলার এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে গুলিবিনিময় চলছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে দুই পক্ষের গুলিবিনিময় শুরু হয়। তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিজিপি প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু। পরে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলিবিনিময় চলছিল।
প্রসঙ্গত, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি সীমান্ত এলাকায় বুধবার বিজিবির টহল টিমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে বিজিপি। সেই সময় নিখোঁজ হন নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান। তাকে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মায়ো মিন্টথানকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। সীমান্ত থেকে বিজিবির সদস্যকে আটক করায় এ সময় রাষ্ট্রদূতকে কঠোর ভাষায় তিরস্কার করা হয়। সীমান্তে মায়ানমার সীমান্তরক্ষীদের কাছে আটক বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমানকে অতি দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।