পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে কয়েক দিন ধরে বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির উত্তেজনা চলছে। গুলিবিনিময় ও হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এতে আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন ওই এলাকায় বসবাসকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের পানছড়িতে ৫২ নম্বর পিলার এলাকায় নাইক্ষ্যংছড়ির ৩১ বিজিবির একটি টহল দলের ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে বিজিপি। এই ঘটনায় বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমান তার ব্যবহৃত অস্ত্রসহ (সিপাহি নং- ৫৩৯৪৯) নিখোঁজ হন। মিজানুর রহমানকে বিজিপি সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়।
শুক্রবার সকালে নিখোঁজ মিজানুরের সন্ধানে বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় গেলে বিজিপি সদস্যরা মিজানুরের হদিশ না দিয়ে বিজিবি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। দুপুরের দিকে গুলিবিনিময় আরো বাড়তে থাকে। এ সময় কয়েক শ' রাউন্ড পাল্টাপাল্টি গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছেন। তবে যারা সরে যেতে পারেননি তারা উৎকণ্ঠায় আছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখানে এমন অবস্থা যে নিরাপদ স্থানে যাওয়া দূরে থাক, কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সকালে নিরাপত্তাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে মিজানুরের লাশ ফেরত চান। তবে সে বিষয়ে তারা সাড়া না দিয়ে পাল্টা গুলি চালায়। ফলে সীমান্ত এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান তারা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে ৪৮-৫৫ নম্বর পিলারের সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনীর আরো কয়েকটি টহল দলসহ সেনাসদস্যদের ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।