বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে নিহত বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) নায়েক সুবেদার শহীদ মিজানুর রহমানের (৪৩) মৃতদেহ আগামীকাল সোমবার কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে পৌঁছবে। পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, মিজানের কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভৈষেরকোট ভেলানগর গ্রামের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। শুক্রবার বিকালে মিজানের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছার পর থেকে তার মা রাবেয়া আক্তার (৬৫), স্ত্রী শামিমা আক্তার পারুল (৩৫) এবং ৪ কন্যা সন্তানসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মিজানের শ্যালক জালাল উদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, লেম্বুছড়ি বিওপি থেকে মিজানের লাশ রবিবার ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ৩১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে নেয়া হয়েছে। সেখানে লাশের সুরতহাল করার পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাশের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হবে।
ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পুনরায় নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ৩১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে নেয়া হবে। সেখানে সোমবার সকাল ৯টার দিকে জানাযা শেষে লাশ কুমিল্লায় পাঠানো হবে।
বিজিবি ১০ কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল শহিদুল রহমান জানান, সোমবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে মিজানের লাশ কুমিল্লায় আনা হবে। হেলিকপ্টারটি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাড অথবা চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘরিয়া এলাকায় অবতরণ করতে পারে।
মিজানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মিজানুর রহমানের পিতা আবদুল হাফিজ সেনাবাহিনীতে ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত অবস্থায় শহীদ হন। মিজানুর রহমান ১৯৮৮ সালে চাকুরিতে যোগদান করেন। গত দুই মাস আগে লালমনিরহাট থেকে তাকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বদলি করা হয়।
স্থানীয় বড়কামতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন-অর রশীদ জানান, নিহত মিজান পরিবারটির একমাত্র অবলম্বন। তিনি ওই অসহায় পরিবারের জন্য সরকারের নিকট যথাযথ আর্থিক সহায়তা দাবি করেন।