যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালিতে আজ মঙ্গলবার সকালে যাত্রবাহী বাস দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় জানা গেছে।
নিহতরা হলেন: ঢাকার ডেমরা এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে জামান (৪০), বিদ্যুৎ ঘোষ (৪৫), মুন্সীগঞ্জ জেলার চুঙ্গীবাড়ী এলাকার সালাম (৩০), শরীয়তপুর জেলার গোয়াখোলা এলাকার রণজিৎ পালের ছেলে প্রসেনজিৎ পাল (৩৪) ও ঢাকার ধোলাইখালির রজমান আলী (৩৫) ও ঢাকার নির্মল চন্দ্র সাহা (৫৫), হেনা সাহা (৪০)। নিহতদের লাশ ঝিকরগাছা থানা, ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতাল মর্গে রয়েছে। আহতদেরকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনালের হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত হন। পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জন ও ঝিকরগাছা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন মারা যান।
আহত যাত্রীরা জানান, সোহাগ পরিবহনের ৮৪ নম্বর গাড়িটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বেনাপোল যাচ্ছিলো। গাড়ির বেশিরভাগ যাত্রীই ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে বেনাপোল যাচ্ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যে অপর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এসময় রাস্তার পাশের গাছে সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
দুর্ঘটনার সময় যাত্রীরা অধিকাংশই ঘুমিয়ে ছিলেন।
আহত বাসযাত্রী রাকিব জানান, সোহাগ পরিবহনের এই কোচটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর থেকেই চালক বেপরোয়াভাবে অন্যান্য পরিবহনকে অতিক্রম (ওভারটেক) করছিল। যাত্রীরা তাকে কয়েকবার সতর্ক করেছেন। কিন্তু তিনি কারও কথা শুনছিলেন না। একই অভিযোগ করেছেন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাস যাত্রী সুমন ও ওয়ালিদ।
তবে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান, তার ধারণা চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।