নয়া দিল্লি ও ঢাকার মধ্যকার সম্পর্ক কোনো বিশেষ দল ও ব্যক্তির সঙ্গে নয়; বরং দুই দেশের মানুষের স্বার্থের ভিত্তিতে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
গত রবিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বেগম জিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত বিষয়গুলোর নিষ্পত্তিতে ব্যর্থতার জন্য ভারত নয়, আওয়ামী লীগ দায়ী।
ভারতের বিগত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারকে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে নয়, দুই দেশের জনগণের স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক হওয়া উচিত। এর জন্য আমি কাউকে দায়ী করছি না, তবে আওয়ামী লীগ এটা করতে তাদের বাধ্য করেছে এবং ভারত সরকার তাদের সমর্থন দিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা মধ্যপন্থী। আমরা উগ্র ডানপন্থী নই, উগ্র বামপন্থীও নই। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনকালীন একটা বন্দোবস্ত। ওরা কিছু জায়গা থেকে নির্বাচন করেছিল, আমরা কিছু জায়গা থেকে। এর বাইরে কিছু না। ওরা ওদের আদর্শ অনুসরণ করে, আমরা আমাদের।
খালেদা জিয়া বলেছেন, সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তার বৈঠকটি ছিল খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। বৈঠকে সুষমা সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন খালেদা।