নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা ও হাপানিয়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের ছোঁড়া ককটেল ও মারপিটে ৪ বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সীমান্তে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এ পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন: উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম (২০) এবং হাপানিয়ার বেলডাঙ্গা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩০) ও হাপানিয়া গ্রামের মৃত দিনুল ইসলামের ছেলে আব্বাস উদ্দিন (২৫)।
স্থানীয়রা জানায়, মফিজুল ইসলাম ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম সকালে ভারত থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল ৮টার দিকে তারা কলমুডাঙ্গার সীমান্তের ২৩৭ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছালে ভারতের আদাডাঙ্গা বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে পরপর চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তারা গুরুতর আহত হন।
অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাপানিয়ার আব্বাস উদ্দিন এবং আমিনুল ইসলাম ভারত থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় হাপানিয়া সীমান্ত এলাকায় ভারতের পান্নাপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ও লাঠি দিয়ে মেরে হাত ভেঙ্গে ফেলে।
বর্তমানে ককটেলের আঘাতে আহত মফিজুল ও শরিফুল ইসলাম রাজশাহীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং মারপিটে আহত আমিনুল ও আব্বাস উদ্দিন সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কলমুডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার রিয়াজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই এলাকা দিয়ে আজ ভোররাতে প্রায় ৭০টি গরু-মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
হাপানিয়া বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোশাররফ বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে ওই এলাকা দিয়ে রাতে ৯১টি গরু-মহিষ এসেছে বলে তিনি জানান।