'সরকার যদি সমঝোতায় না আসে, আলোচনায় না বসে তাহলে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না। বিএনপি কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। তবে এর কোনো টাইম ফ্রেম নেই' বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। যদি সরকারই আমাদের সংঘাতের পথে ছেড়ে দেয় তাহলে জনগণই এর কঠোর জবাব দেবে।'
সরকার ইচ্ছে করেই দেশের মানুষকে উস্কে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের মন্ত্রীদের ‘অশালীন’ বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'সম্প্রতি তোফায়েল আহমেদ যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তা শালীনতা বর্র্হিভূত। আমরা তার কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আশা করি না।'
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, 'কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আঘাত দিয়েছেন। তাকে শুধু দল আর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিলেই হবে না। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।'
মির্র্জা ফখরুল বলেন, 'লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করেই যদি ক্ষমা করে দেওয়া হয়। তাহলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়বে। আর জনগণের মধ্যে এর বিস্ফোরণও ঘটবে।'
সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে সারাদেশে ২০ দলের মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, মানববন্ধন চলাকালে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের মারমুখী হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
কর্মসূচিতে যশোরের এসপি (পুলিশ সুপার) দলীয় ক্যাডারদের মতো আচরণ করেছেন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/২ অক্টোবর, ২০১৪/জান্নাত