ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের জন্য মরণোত্তর দেহ দান করলেন ভাষা সংগ্রামী আবদুল মতিন। আবদুল মতিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে রবিবার লিখিতভাবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেহদানের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আবদুল মতিনের স্ত্রী গুলবদন নেসা সোমবার সকালে বলেন, ১০ বছর আগেই দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেহদান সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া লিখিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'আমি আবদুল মতিন, পিতা মৃত আবদুল জলিল, মাতা মৃত আমেনা খাতুন, স্বেচ্ছায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় আমার মরণোত্তর দেহ বা লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের শিক্ষার্থীদের এনাটমি ও ফিজিওলজি ইত্যাদি শেখার কাজে লাগবে জেনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাজে দেহ সম্পূর্ণ এবং সন্ধানীকে চক্ষু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও কন্যাদের সম্মতি রয়েছে। কাজেই মৃত্যুর পরে আমার মৃতদেহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করার জন্য আমার স্ত্রী ও কন্যাদের নির্দেশ দিচ্ছি।'
গত ১৯ আগস্ট মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আবদুল মতিনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২০ আগস্ট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের জমাটবাঁধা রক্ত অপসারণ করা হয়। ৮৮ বছরের এই ভাষা সংগ্রামী ডায়াবেটিস, রিকারেন্স হার্নিয়া ও প্রস্টেট গ্ল্যান্ডসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। ভাষা সংগ্রামী আবদুল মতিনের চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ অক্টোবর ২০১৪/আহমেদ