বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সোহাগ পাড়ায় মা ও তিন মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করতে গিয়েই এমন বিষয় পুলিশের সামনে এসেছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে। লাশ উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সালেহ মো. তানভীর জানান, ভোর রাতে উপজেলার দক্ষিণ সোহাগ পাড়া এলাকার প্রবাসী মজিবরের স্ত্রী হাসনা বেগম ও তিন মেয়ে মরিয়ম, মিলি এবং মিম ঘুমিয়ে ছিল। রাত ৩টার পরে কোন এক সময়ে দূর্বৃত্তরা তার ঘরের দরজার বাইরে থেকে আটকিয়ে দরজার নিচ দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। ঘরের রুমের ভিতর থেকে যাতে পেট্রোল বের হতে না পারে তার জন্য মাটি দিয়ে বেড়া দেয়া হয়। মূহুর্তের মধ্যেই ওই রুমের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘুমন্ত মা ও তিন মেয়েও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।
পরে বিকট শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এবং আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য চেষ্টা চালায়। আগুন নেভাতে পানি দিলে আগুন আরো জ্বলে ওঠে। এ সময় বালি ও মাটি দিয়ে দরজার আগুন নিভিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলে এলাকাবাসী। পরে ঘরের মধ্যে খাটের উপর খাটসহ মা ও তিন মেয়ের অগ্নিদগ্ধ লাশ দেখতে পায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ সময় মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে রিক্সা চালক আলী হোসেনকে ও জাহাঙ্গীর নামক এক যুবকের চাচীকে আটক করেছে।
জানা গেছে, পাশের বাড়ীর বাহার উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ দিন ধরে ওই পরিবারের বড় মেয়ে নবম শ্রেণি পড়ুয়া মরিয়মকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছেলের পরিবারের লোকজন এ আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পেট্রোলের দু'টি কন্টেইনার উদ্ধার করেছে। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ীর সকলেই পলাতক রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ অক্টোবর ২০১৪/ আহমেদ