জাতীয় পরিচয়পত্রের ডিজিটাল ফরম্যাটের কার্ড (স্মার্টকার্ড) ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করতে চায় কমিশন। গত বছরের বিজয় দিবসে নাগরিকদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জানা যায়, ম্যানুয়াল পরিচয়পত্রের পরিবর্তে ডিজিটাল ফরম্যাটে ৯ কোটি পরিচয়পত্র তৈরি হবে। এ লক্ষ্যে স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের জন্য ফরাসি কোম্পানি ‘অবারথু টেকনোলজি’র সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কোম্পানিটি ৯ কোটি স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণ করবে।
ব্যয়বহুল হওয়ায় স্মার্টকার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব নাগরিকদের কাছে বাড়াতে এবার ‘ফি’ নির্ধারণ করেছে ইসি। পরিচয়পত্র হারানো, সংশোধন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো ফি না লাগলেও স্মার্টকার্ডের ক্ষেত্রে ‘ফি’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১০ বছর মেয়াদি এ স্মার্টকার্ড প্রথমবার ফ্রি দেয়া হবে। এরপর প্রথমবার হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে ২শ’ টাকা; দ্বিতীয়বারের জন্য ৩শ’ টাকা এবং পরবর্তী যে কোন বারের জন্য ৫শ’ টাকা নির্বাচন কমিশন সচিবের অনুকূলে জমা দিতে হবে। তবে জরুরি ভিত্তিতে পরিচয়পত্র পেতে হলে ৩শ’ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত লাগবে। আর নবায়ন করতে হলে একশ’ টাকা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিধিমালা-২০১৪ এ বিধান রাখা হয়েছে।
ভোটাদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়ার আগে ইসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত ৯ কোটিরও বেশি ভোটারদের তথ্যের বিদ্যমান ভুল সংশোধনের সুযোগ দেবে ইসি। অনলাইনে বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুযোগ দিতে যাচ্ছে কমিশন। কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করার সুযোগ থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা