ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করতে ওইদিন বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
সোমবার বিকেলে এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হানিফ বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। এরপর বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হানিফ বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটা হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিএনপি-জামায়াত ইতিমধ্যে সারা দেশে জঙ্গী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে সারাদেশে।
খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এর দায়-দায়িত্ব যে সংস্থার উপর তারা তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের আদেশ পালন করবেন। আমরা বিশ্বাস তারা আদালতের আদেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে পালন করবে।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা হবে কী না—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রথম কাজ হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা। তারপর জনগণ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামাল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সহিদ সেরনিয়াবাত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা অ্যাডভোকেট আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/০২ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব