বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই তিন বছর ইলিয়াসের সঙ্গে ‘নিখোঁজ’ ছিল সিলেট বিএনপির প্রাণশক্তিও। বিএনপির রাজপথের শক্তি ছিলেন ইলিয়াস আলী। তার অনুপস্থিতিতে সিলেটে কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না সংগঠনটি। জেলা ও মহানগর শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করেও নেতা-কর্মীদের রাজপথে সক্রিয় করা যায়নি। সিলেটে যেন কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না ইলিয়াস আলীর নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ।
২০০৯ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এম ইলিয়াস আলী। তার নেতৃত্বে সিলেটে যখন সরকারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে তখন ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন তিনি। এরপর ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে সিলেটে আন্দোলন চলে। তবে ধীরে ধীরে এই আন্দোলনে পড়তে থাকে ভাটা। এর ধারাবাহিকতায় গত চার মাসের ২০-দলীয় জোটের আন্দোলনেও সিলেটে জমেনি।
সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেন, ইলিয়াস আলী দেশ ও দলের জন্য রাজনীতি করেছেন। দলের কঠিন সময়েও তিনি রাজপথে থেকে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ জুগিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে দলের মধ্যে নেতৃত্বের যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল গফ্ফার বলেন, চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা ইলিয়াস আলীর অভাব অনুভব করছেন। তার বিচক্ষণ নেতৃত্ব সব সময় নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখত। তার এ শূন্যতা সিলেটের অন্য কোনো নেতা পূরণ করতে পারেননি।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল, ২০১৫/মাহবুব