আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের টানা ৬ বছরে (২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত) বিশ্বের ১৬০টি দেশে ৩০ লাখ ৩০ হাজার ৪৩৮ জন কর্মী কর্মসংস্থান হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের আজকের বৈঠকে নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, শুধুমাত্র বিগত বছরে (২০১৪ সাল) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন বাংলাদেশী কর্মী চাকুরী নিয়ে বিদেশ গমণ করেছেন। আর এই এক বছরে তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
আয়েন উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত ২৫ বছরে (১৯৯১-২০১৫ সাল পর্যন্ত) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৬ জন নারী কর্মী পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৪ সালে ৭৬ হাজার ৭ জন নারী কর্মী বিদেশ যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারী-মে পর্যন্ত সময়ে যায় ৪০ হাজার ৩৮৭ জন নারী কর্মী।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, নারী কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশনের তত্ত¡বধানে সেইফ হোম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এনামুল হকের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সির অতিরিক্ত অর্থলিন্সায় অধিক অভিবাসন ব্যয়ে বিদেশ গমন ও দীর্ঘদিন অবস্থান প্রবণতা বাড়ার কারণে বিদেশ গিয়ে অবৈধ হয়ে পড়ে। সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়া, সৌদিআরব ও ইরাকে অবৈধ হয়ে পড়া প্রায় ১১ লক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিককে কর্মের বৈধকরণের আওতায় কর্মেও বৈধতা দেয়া সম্ভব হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম আখতার জাহানের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিদেশের কারাগারে আটক ব্যক্তিদের আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশের দূতাবাসের ২৮টি শ্রম উইংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া যারা ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত হননি, তাদেরকে দূতাবাস হতে প্রয়োজনীয় সহয়তা দিয়ে দেশে ফেরত আনা হয়।
তিনি জানান, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ আওতায় বিদেশে কর্মী প্রেরণ করা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মন্ত্রাণালয় অধিনস্থ বিএমইটি হতে ‘বহির্গমন ছাড়পত্র’ গ্রহণ না করে ছাত্র ও ট্যুরিস্ট ভিসায় গমন করে বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে কাজ করার জন্য আটক হন। আবার অনেকই অবৈধভাবে কোন দেশে প্রবেশের কারণেও কারাভোগ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ জুন, ২০১৫/ রশিদা