আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে গেছে। টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে টিকিট সংকটে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে ১৬ এবং ১৭ তারিখের টিকিট কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও অনেকে সেহেরী খেয়েই আসেন টিকিট সংগ্রহে। যে কারণে ঈগল, হানিফ, সোহাগ, শ্যামলী, একে ট্রাভেলস, এস আলমসহ বিভিন্ন পরিবহণ কাউন্টারে মানুষের দীর্ঘ লাইন। শনিবার গাবতলীতে সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল অর্থাৎ প্রথম দিনের মতো ভোর রাত থেকে কাউন্টারগুলোতে ভিড় করেছেন টিকিট ক্রেতারা। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত টিকিট। ১৬ তারিখ শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অধিকাংশ মানুষই এ দিনের টিকিট খুঁজছেন। যারা তা পাচ্ছেন না তারা খুঁজছেন পরের দিন ১৭ তারিখের টিকিট। তবে অধিকাংশ কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে এ দু'দিনের টিকিট নেই।
অপরদিকে অনেকের অভিযোগ, পিছনের দরজা দিয়ে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে টিকিট শেষ, এরপরই কেউ একজন কানের কাছে এসে বলছেন, ২০০/৩০০ বেশি দিলে টিকিট ব্যবস্থা করে দেবেন। এভাবে অনেকে বেশি টাকা দিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করছেন।
এদিকে কাউন্টারে যেসব দিনের টিকিট আছে সেগুলোর দামও অনেক বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তবে টিকিট বিক্রেতারা জানান, ভাড়া কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে টিকিট প্রতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। অথচ যাত্রীদের অভিযোগ দুই থেকে তিনশ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে বলে দিচ্ছে, 'টিকিট শেষ"।
ঢাকা-খুলনাগামী একে ট্রাভেলস কাউন্টারের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, কাউন্টারে ও অনলাইনে একযোগে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এ কারণে একটু এদিক সেদিক হতে পারে। তবে কাউন্টারের লোকজন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সুষ্ঠুভাবে টিকিট বিক্রির জন্য। ১৬ তারিখ থেকে অধিকাংশ অফিস ছুটির কারণে ওই দিনের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ১৬, ১৭ ও ১৮ তারিখের টিকিট এখন বর্তমানে আমাদের কাছে ১টি অথবা ২ টি থাকতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ