ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে টানা পাঁচ টেস্টেই খেলেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। সিরিজ জুড়ে ১৮৫.৩ ওভার বোলিং করেছেন তিনি। বল হাতে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। সিরিজে যে কোনো বোলারের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এমন পারফরম্যান্সে সিরাজের প্রশংসা করেছেন সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার ডেভিড গাওয়ার।
সিরাজের ফিটনেসের রহস্য কী তা নিয়ে কৌতুহল গাওয়ারের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিটি টেস্টেই সিরাজ যেভাবে ক্লান্তিহীনভাবে খেলে গেছেন তা দেখে অবাক হয়েছেন কিংবদন্তি এই ইংলিশ ক্রিকেটার। সিরিজের শেষ টেস্টে ওভালে সিরাজের ৩০ ওভারের বোলিংয়ের উদাহরণ টেনেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে গাওয়ার বলেছেন, আমি আসলেই জানতে চাই সে কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখে, কী খায় এবং কী পান করে। কারণ আমি ইংল্যান্ডের সব বোলারদেরই সেটা দিতে চাই। সিরাজকে নিয়ে যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে তা হলো— সে পাঁচটি টেস্টই খেলেছে এবং একটুও কমতি রাখেনি। তবুও, ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে (ওভাল) সে ৩০ ওভারের বেশি বল করেছে কারণ সেদিন পেসারদেরই বোলিং করতে হচ্ছিল। কিন্তু সে কখনো হাল ছাড়েনি। থেমে যায়নি, ক্লান্তও দেখায়নি।
একমাত্র মার্ক উড ও সিরাজই সিরিজের সবগুলো টেস্টে খেলেছেন। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের পেসাররাও ফিটনেস নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন। তাই সিরাজই উদাহরণ হতে পারেন বলে ধারণা গাওয়ারের।
তিনি বলেন, এটা তার জয়ের আকাঙ্ক্ষা ও ফিটনেসের এক অসাধারণ প্রমাণ। যে বিষয়টা আমাকে অবাক করেছে, তা হলো—ইংল্যান্ডের বোলিং গত কয়েক বছরে ফিটনেস ধরে রাখা নিয়ে সমস্যায় ভুগছে। খুব কমই দেখা যায় যে একই বোলিং আক্রমণ ম্যাচের পর ম্যাচ খেলছে। অথচ এখানে এমন একজন আছেন, যে পুরো পাঁচটি টেস্ট খেলেছে, সিরিজের শেষ ইনিংসে ৩০ ওভার বল করেছেন এবং সেটা উপভোগও করেছে
যদিও সিরাজকে ফিট রাখতে বুমরাহর মতো তাকেও বেছে বেছে ম্যাচ খেলানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আরপি সিং। তিনি পিটিআইকে বলেছেন, ভবিষ্যতে সিরাজকে ইনজুরি থেকে রক্ষা করতে হলে তার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট খুবই জরুরি। ফাস্ট বোলাররা যখন অল্প সময়ের মধ্যে বেশি ম্যাচ খেলে, তখন তাদের ইনজুরির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঠিক যেমনটা আমরা বুমরাহর ক্ষেত্রে করেছি, সিরাজের ক্ষেত্রেও তেমনটা করা উচিত।
বিডি প্রতিদিন/কেএ