লক্ষ্মীপুরে সালমা আক্তার নামে এক গৃহবধু অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মারা গেছেন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সালমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত সালমা ওই গ্রামের রাজমিস্ত্রী মো. খলিলের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে সালমার স্বামী খলিল পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে সদর উপজেলার বটতলী এলাকার মৃত সানাউল্লার মেয়ে সালমা আক্তারের সাথে একই উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা খলিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো তাদের। শনিবার রাতে খলিল ও তার স্ত্রী সালমার মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পরে অগ্নিদগ্ধ হয় সালমা। আগুন দেখে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা সালমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে। এর আগেই সালমার শরীরের প্রায় ৯০ ভাগ পুড়ে যায়। অবস্থার অবনতিতে ঢাকা নেয়ার পথে সালমা মারা যান।
নিহতের ভাই মো. রেজওয়ান জানান, সালমার স্বামী অকর্ম অবস্থায় থাকায় তাদের সাংসারিক জীবনে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। রাতে উভয়ের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সালমাকে তার স্বামী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সালমাকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি সে আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ