১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহের করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সবিচকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে গত ২৪ জুলাই নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত সোমবার একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন এম মনজুর আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু।
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হবে, তাদের তথ্যও চলমান হালনাগাদে সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি বলছে, তথ্য সংগ্রহ করা হলেও ১৮ বছরের কম বয়সীরা এখনই ভোটার হচ্ছেন না। ভোটারযোগ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা চূড়ান্তভাবে তালিকাভুক্ত হবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৫-১৭ বছর বয়সী নাগরিকদের সম্ভাব্য সংখ্যা হতে পারে ৭২ লাখ। ছয় মাস ধরে তাদের নিবন্ধন কাজ শেষ করতে প্রায় ৮১ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে।
আদেশের পর শাহদিন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, আইনে বলা আছে ১৮ বছর হয়েছে তাদেরকেই ভোটার তালিকায় আন্তর্ভূক্ত করা যাবে। যেহেতু ১৮ বছরের কম বয়সীদের অন্তর্ভুক্ত করা আইনের মধ্যে পড়ে না। এ জন্যই এই রিট করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ আগস্ট, ২০১৫/মাহবুব