দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাত ও ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চাপাইনবাবগঞ্জে ৪ জন, নরসিংদীতে ৩ জন ও গাজীপুরে ১ জন।
বুধবার সন্ধ্যার পর এসব গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলার গোমস্তাপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় মোকরোমপুর সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গোমস্তাপুর থানার ওসি ফিরোজ আহমেদ। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম রব্বানী জানা গেলেও অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ওসি ফিরোজ আহমেদ জানান, মোকরোমপুর সেতুর কাছে এক মোটর সাইকেল চালকের পথরোধ করে ১০/১২ জনের একটি দল। এ সময় তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা দৌড়ে এসে চারজনকে ধরে পিটুনি দেয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গণপিটুনির শিকার চারজনকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে রামদা, হাসুয়াসহ বেশ কিছু ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নরসিংদী : জেলার মনোহরদী উপজেলার চরমান্দিয়া গ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মনোহরদী থানার ওসি মাহমুদুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাতে ৭/৮ জন যুবক গ্রামে ডাকাতির উদ্দেশে প্রবেশ করলে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও দুজনকে ধরে পিটুনি দেয় এলাকাবাসী। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি ওসি। গ্রামে ঘনঘন ডাকাতির অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী মোনহরদী থানা ঘেরাও করে বলে জানান তিনি।
গাজীপুর: গণপিটুনির ঘটনায় গাজীপুর চান্দনা এলাকায় অজ্ঞাতনামা যুবক (৩০) নিহত হয়েছেন। তবে গণপিটুনি দেওয়া ব্যক্তিদের গায়ে র্যাবের জ্যাকেট পড়া ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকান মালিক অভিযোগ করেছেন।
তবে র্যাবের কর্মকর্তারা সাংবাকিদের জানিয়েছেন, অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের হামলায় আহত এক যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় মসজিদ মার্কেটের দক্ষিণ ফটকের পাশে এঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া যাযনি।