সিলেটে নির্মম নির্যাতনে খুন হওয়া শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আমলে নিয়েছেন আদালত। সোমবার মহানগর হাকিম ১ম আদালতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অভিযোগপত্রের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
পরে আদালতের বিচারক শাহেদুল করিম অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
পলাতক তিন আসামী হলেন- সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা বর্তমানে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, কামরুলের ভাই শামীম আহমদ ও একই গ্রামের পাভেল আহমদ।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার চার্জশিট (নং-৮১) ওই আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার। অভিযোগপত্রে ১৩ জনকে আসামী করা হয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামীরা হলেন- কামরুলের ভাই আলী হায়দার, মুহিত আলম, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, অভিযোগপত্রের উপর শুনানি শেষে বিচারক কামরুলের ভাই মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগম ও মুহিতের শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবলুসকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ ৩১ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন। আদালতে বাদী পক্ষে পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ছাড়াও রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী শুনানিতে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে দোকানের খুঁটিতে বেধে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়। নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ফেসবুকে আপলোড করা হলে তা দেখে সারাদেশের ক্ষোভের সঞ্চার হয়। খুনিদের বিচারের দাবিতে সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ আগস্ট ২০১৫/শরীফ/এস আহমেদ