রাজধানীতে মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওলামা লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের 'চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ' পুরস্কার পাওয়ায় শনিবার সকাল থেকেই ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী এবং অপর অংশের সভাপতি আখতার হুসাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এরই মধ্যে ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী যখন মানববন্ধনে আসেন তখনই টুপি পরিহিত অর্ধশতাধিক লোক লাঠি, চাপাতি নিয়ে পাশে থাকা আখতার গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালান।
হামলায় আহত ওলামা লীগের আখতার হুসাইন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে হেলালী গ্রুপের সন্ত্রাসীদের আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করব।
আবুল হসানের ভাষ্য মতে আহতরা হলেন- মাওলানা শওকত আলী শেখ সেলিমপুরী, হাজি হাবিবুল্লাহ রূপগঞ্জী, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকী, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি, মাওলানা লোকমান হোসেন, ক্বারী মাওলানা আসাদ, মাওলানা মো. সোলায়মান, মাওলানা নাজমুল হক, মাওলানা রবিকুল ইসলাম ও মাওলানা শাজাহান।
এ বিষয়ে ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী বলেন, ‘আমিই ওলামা লীগের সভাপতি। যাদেরকে জনগণ তাড়িয়ে দিয়েছে ওরা জামায়াতের এজেন্ট। হেফাজতের চর। তাই ওলামা লীগের প্রকৃত কর্মীরা ওদের পিটিয়েছে।’
অন্যদিকে, নিজেদেরকে ওলামা লীগের প্রকৃত অংশ দাবি করে অপর অংশের সভাপতি আখতার হোসাইন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিজে এবার হজে পাঠিয়েছেন। আমি ১/১১ এর সময় প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে প্রথম মিছিল করেছি। পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী চেনেন, জানেন। আমরাই ওলামা লীগের প্রকৃত অংশ। ওরা আওয়ামী লীগের কেউ না।’
বিডি-প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব