দেশে শিশু নির্যাতনের হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ কীভাবে পারে ছোট্ট শিশুকে নির্যাতন করতে? শিশু নির্যাতনকারীদের বিচার হবেই। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের কালরাতে ঘাতকের বুলেট নিষ্পাপ শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। তাকেও কেড়ে নিয়েছে। আর যেন কোনো শিশুর ভাগ্যে এমন ঘটনা না ঘটে সেটাই আমাদের কাম্য। সেজন্য প্রত্যেক শিশুর নিরাপদ বাসযোগ্য দেশ গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিলেন, যার জন্য আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। স্বাধীন জাতি হিসেবে পরিচয় দিই। যিনি স্বাধীনতা সংগ্রাম না করলে, জীবনের ঝুঁকি না নিলে, দিনের পর দিন কারাগারে না কাটালে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। ঘাতকেরা সেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করলো। তাকে হত্যা করা হয়েছে, যখন তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ছিলেন। কী নির্মমতা।
ছোট বোন শেখ রেহানাসহ বিদেশে থাকার কারণে কালরাতের সে নৃশংসতা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিদেশে থাকার কারণে বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু আপনজন হারিয়ে বেঁচে থাকা যে কতো কষ্টের, তা বলে বোঝাতে পারবো না।
ছোট ভাইয়ের স্মৃতিতে কাতর হয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা বলেন, আজকে রাসেল বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ৫১ বছর। এখন ভাবি, রাসেল বেঁচে থাকলে কেমন দেখতে হতো। এ কারণে শিশুদের চোখে রাসেলের প্রতিচ্ছবি দেখি।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব