ঘূর্ণিঝড় 'রোয়ানু' পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে আরও খানিকটা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম থেকে ১২০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১১৮০ কিলোমিটার, পায়রা বন্দর থেকে ১০৫৫ কিলোমিটার ও মংলা বন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি ধীরে ধীরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাত ৮টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল থেকে ১৩শ' কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। শুক্রবার সকালে আবহাওয়াও ১১ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, 'রোয়ানু'র আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে জানমাল রক্ষায় উপকূলীয় জেলাগুলোয় শুক্র ও শনিবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে সরকার।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করে দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানীয়-জল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলাগুলোর লোকজনকে নিরাপদে সরে আসতে বেতারে প্রচার চালানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে সিগনাল বাড়লে মাইকিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়ায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ