বাংলাদেশ ও ভারত আগাম সতর্কতা, স্থানান্তর, উদ্ধার এবং ত্রাণ কর্যক্রমে একে অপরের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে আজ শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সে দেশে সফররত বাংলাদেশের দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আজ শুক্রবার প্রাপ্ত এক বার্তায় এ খবর জানা যায়।
নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সংক্রান্ত এক সম্মেলনে মায়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ ও ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব অশীল কুমার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের মন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কি-ভাবে দক্ষতা অর্জন করেছে, এ বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের সময়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় ভারতের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে। ২০০১ সালে ভারতের গুজরাটে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারায়।
বৈঠকে মায়া ভূকিম্পের আগাম সতর্কতা এবং ভূমিকম্প পরবর্তীতে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় বাংলাদেশের জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদানে ভারতের সহায়তা কামনা করেন।
জবাবে ভারতের মন্ত্রী রাজনাথ বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও বজ্রপাতের মতো কিছু অভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়।
রাজনাথ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের দেশের মাটি ব্যবহার করতে না দেয়ার ঢাকার অবস্থানের প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং।
বিডি প্রতিদিন/ ০৪ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম-২১