জনগণকে ভয় পায় বিধায় সরকার সমাবেশ করতে দিতে চায় না মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দীর্ঘ দিন এভাবে চলতে পারে না। জোর করে মানুষকে ঘরে বন্দি রাখা যায় না। মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা যায় না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সময় মতো আমরা বের হব এবং কর্মসূচি পালন করব।
শনিবার দিবাগত রাতে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বেলন।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা প্রতি বছর ৭ নভেম্বর সমাবেশ করি। সে সমাবেশে ভাড়া করে লোক আনতে হয় না। দলের নেতা-কর্মীরা আসে। জনগণ আসে। কিন্তু এই অনির্বাচিত সরকার জনগণকে ভয় পায়। সেই জন্য তারা আমাদেরকে সমাবেশ করতে দিতে চায় না।
''তবে এভাবে দীর্ঘ দিন চলতে পারে না। জোর করে মানুষকে ঘরে বন্দি রাখা যায় না। মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা যায় না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সময় মতো আমরা বের হব এবং কর্মসূচি পালন করব।''
দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি কারও কথা মত চলার জন্য নয়। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এটা সবাইকে বুঝতে হবে। শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য সব কিছু বিকিয়ে দিয়ে কারো দিক নির্দেশনায় চলব-তা হবে না। জাতীয়তাবাদী দল হিসেবে আমরা সেটা মেনে নিতে পারি না।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। প্রতি মুহূর্তে নারীরা, ছোট ছোট মেয়েরা নির্যাতিত হচ্ছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তারা সরকারি দলেরই লোক। সরকারের মদদেই করছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।
‘দেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন গণতন্ত্র’ মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, ‘আমাদের সংগ্রামটাই হলো গণতন্ত্রের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। ক্ষমতা জনগণের হাতে। জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমতায় বসাতে পারে। যাকে ইচ্ছা তাকে নামাতে পারে।’
দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এখন প্রয়োজন নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করা। শুধু নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করলেই হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এই দুটি জিনিস হলেই সকলে ভোট দিতে পারবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। শান্তি ফিরে আসবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মহিলা দলের সহ সভাপতি নুরজাহান বেগম, জেবা খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব