রংপুরে গভীররাতে গুলি বিনময়ের পর জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের(জেএমবি) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত তিনটায় রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের শাহাবাজপুরে এসএমবি নামের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় জেএমবি সদস্যদের কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলিসহ একটি দেশী রিভলবার, চারটি ককটেল, বেশকিছু চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল এবং জেহাদী বই উদ্ধার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) ওসি জাহিদুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “জেএমবির চার সদস্য ওই আটভাটা সংলগ্ন একটি পুকুর পাড়ে টিনের চালার নিচে অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও কোতোয়ালী থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেএমবি সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্যকরে বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। আমরা পাল্টা ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ি”।
তিনি আরও জানান, “এক পর্যায়ে জেএমবির সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে আটক করা হয়। এরা হলো- রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার এরশাদ আলম (২৮), বেলাল হোসেন(৪০), আল-আমীন(২০) ও আশরাফুল ইসলাম(২০)। এরা পুলিশে তালিকাভূক্ত জেএমবি সদস্য। ককটেলের আঘাতে আমাদের চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এরা হলেন-ডিবির এসআই মাসুদ ও কনস্টেবল আসাদ, এবং কোতয়ালী থানার এসআই মামুন ও কনস্টেবল খালেক। আহতদের রাতেই পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে”।
ডিবির ওসি জাহিদুর রহমান চৌধুরী জানান, “গ্রেপ্তাররা সকলেই রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি, মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা এবং বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমীনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলা অভিযোগপত্রভূক্ত প্রধান আসামী জেএমবির রংপুরের আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা, সদস্য ইছাহাক আলী লিটন মিয়া ও আবু সাঈদের সহযোগি। এদের সকলের বাড়িও টাঙ্গাইলপাড়ায়। তারা বর্তমানে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন”।
.
বিডি-প্রতিদিন/৬ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১