দেশের প্রথম আট লেন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের (যাত্রাবাড়ি-কাঁচপুর) পার্শ্বে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর বিভাগ। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে এ অভিযান বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে। এ সময় যাত্রাবাড়ি থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান। এ সয়ম উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল হোসেন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাছান ইমাম, মো. রাসেল মৃধা, সোহেল মাহমুদ প্রমুখ। এর আগে রবিবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সওজ কর্তৃপক্ষ।
নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ি থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ আট লেনের মহাসড়কটি ১৩ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে মহাসড়কের পাশে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। এর আগে আমরা মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।
তিনি আরও জানান, ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়কটি দেশের প্রথম আট লেন বিশিষ্ট মহাসড়ক। এই মহাসড়কের প্রায় একটি লেন অবৈধ দখলকারীরা দখল করে রেখেছিল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ১১ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় এসে তিন দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন সওজ কর্তৃপক্ষকে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ