বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সাক্কু যুদ্ধ করে জিতেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেভাবে জয় ছিনিয়ে আনতে প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশ ধ্বংসের আগেই বিজয় ছিনিয়ে এনে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। আওয়ামী লীগকে বিদায় করার জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। প্রত্যেক জেলায় জেলায় আমাদের জাতীয়তাবাদী সৈনিকদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে তারা যেন কুমিল্লার সাক্কুর মতো যুদ্ধ করতে পারে। আগামী নির্বাচনের যুদ্ধে আমরা ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হতে পারব এবং আমরা সফল হব।
মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার নবনির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর গুলশানস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেখা করতে এলে বেগম জিয়া একথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রথম পরীক্ষা। আমরা আশা করেছিলাম, অন্ততপক্ষে তিনি যে নিরপেক্ষ একটা প্রতিষ্ঠানে বসেছেন, তিনি নিরপেক্ষতা দেখাবেন, প্রমাণ করবেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় তিনি নিরপেক্ষ নন। তিনি আওয়ামী লীগের হয়েই কাজ করেছেন, সেখানে নিরপেক্ষতার কোনো প্রমাণ রাখেননি। কাজেই এই নির্বাচন কমিশনার আর হাসিনা— এরা থাকলে দেশে কখনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।
কুমিল্লা নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা এবং গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভোট হলে সাক্কু ১১ হাজার নয়, ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতত।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, কুমিল্লা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসীন, কেন্দ্রীয় নেতা এজেডএম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, আনোয়ারুল আজীম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক মিয়া, আব্দুল আউয়াল খান, খন্দকার মারুফ হোসেন, গফুর ভুঁইয়া, মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া, শাহিদুর রহমান তামান্না, কাইয়ুম হক রিংকুসহ কুমিল্লার নেতারা।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ